Skip to main content

Posts

মানবতার গান || লেখক : মুহাম্মদ ফাহিম করিম ||

মানবতার গান - মুহাম্মদ ফাহিম করিম কোন সে মোহের পিছে ছুটে মানবতা বিসর্জন দেও তোমরা হাস্যোজ্বলে, সর্বশ্রষ্ঠ জীবের নামে সর্বনিকৃষ্টের প্রমাণ দেও বারেবারে, বিবেক শব্দটা শেষ কবে শুনেছ পারবে কি মনে করতে। বিবেক শব্দখানির মর্মার্থ কভু চেয়েছ কি বুঝতে, নাকি মিছে প্রভাবের স্রোতে গা ভাসাতে বড্ড ভালো বোধ করো যে। মেধার নামে তোতাপাখির অনুসরণ করে বিশ্বজয় চাও করতে, ভাড়ামি করে যাও কেনো নৃপতি হতে । মিছে খ্যাতির সংজ্ঞা তো পাল্টায় বারেবারে প্রতি মুহূর্তের আবর্তনে । সময়ের ঘোড়ার দৌড়ে তাল মিলিয়ে পেরেছো কি অমর হতে। এত অহংকার নিয়ে নিদ্রায় যাওবা কিভাবে অহংকারীর পরিচয় কি পারবে, পথের ধারের সে অভুক্ত অশ্রুসিক্ত শিশুটির মুখে হাসি ফোটাতে হাসি নাইবা ফোটাতে পারো, যদি একটি অভুক্ত শিশুর মুখে নিজের সত্তা দিয়ে তবে,তোমার এত ডিগ্রী,খ্যাতি গলায় ঝুলিয়ে টাকার দাস সাজতে যাওইবা কেনো । এত সৌন্দর্য বলে চিৎকার করে করে সে মুখোশধারী সুন্দরের পিছে, যাওবা কেনো নিজেকে বিসর্জন দিতে। তোমাদের নিকট পরিচিত সে সুন্দর তো দৃষ্টিভ্রম বিনে আর কিছুই নয় যে, সে সত্য কি তোমাদের কাছে আজও রয়ে গেছে মিথ্যের নামে, নাকি এক জোড়া চোখ শুধু ...
Recent posts

প্রিয় মানুষ || বিপুল আহমেদ বিশাল || ঢাকা মেট্রো চ ||

প্রিয় মানুষ   বিপুল আহমেদ বিশাল মাঝে মাঝে দুর্গন্ধ ও সুগন্ধ ফুলের মতো, যদি প্রিয় মানুষটি সাথে থাকে! অনেক দূরের বাঁকা পথ সহজ কাছের পথ হয়ে যায়, যদি প্রিয় মানুষটির হাতে হাত রেখে হাঁটা হয়! মাঝে মধ্যে অসম্ভব কাজ ও সম্ভব হয়, যদি প্রিয় মানুষটি পাশে থাকে! যে মানুষটি কখনো পাঁচ মিনিট একা বসে অপেক্ষা করেনি, যদি প্রিয় মানুষটি হয় ঘন্টার পর ঘন্টা একা বসে অপেক্ষা করেছে!! নিজেকে অনেক অসুস্থর মধ্যে ও সুস্থ মনে হয়, যদি প্রিয় মানুষটি সিটের পাশের চেয়ারে বসে থাকে!! পুরা পৃথিবীকে অন্ধকার মনে হয় কোথাও আলো নেই, যদি প্রিয় মানুষটি কষ্টে থাকে!! মৃত্যু কে আপন করে বরন করবো, যদি আমার মৃত্যুতে প্রিয় মানুষটি সুখি থাকে!! প্রচ্ছদ : শাহেদ-উর রহমান দীপ্র

এক মূহুর্তের গল্প || লেখক : অমর্ত্য কুমার সরকার || ঢাকা মেট্রো চ৷ ||

এইতো গতবছরের কথা অক্টোবর মাসের পূজার সময় এর ঘটনা। পূজা আসলেই অনিক এর মনটা কেমন যেনো খুসিতে ভরে উঠে। তার মাথায় থাকে নানান চিন্তা কোন পোশাক পরবে, বন্ধুদের সাথে কোথায় ঘুরতে যাবে অনেক চিন্তা তার মাথায় এ নিয়ে। কিন্তু এবার হলো কি অনিক এর মামার জোড়াজোড়িতে মা ও বোন ঠিক করলো এবার মামা বাড়ি যাবে ঘুড়তে। যথারিতি তার বাবা তার মা আর বোনকে বাস এ তুলে দিয়েছিলেন। অনিকের খুব ইচ্ছা ছিলো তাদের সাথে যাওয়ার। মামা বাড়ির নাম শুনলেই খুশিতে তার মন ভরে যেতো। যাই হোক প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ার সুবাদে তার আর এবার পূজায় যাওয়া সম্ভব হয়নি। কারন অক্টোবর মাসের শেষেই তার সেমিস্টার মিডটার্ম পরীক্ষা ছিলো। বেচারার ভাগ্যটাই খারাপ। আর তার বাবার সরকারী চাকরির কারনে যাওয়া হলো না। এবারের পুজোটা এলাকায় পালন করলো সে। এবার আসা যাক ঘটনায়, সেদিন ছিলো নবমীর রাত, প্রতিদিন এর মতো সেইদিনও অনিক তার বন্ধু আকাশ এর সাথে ঘুরতে বেরোবে। তো প্রাই সন্ধ্যার দিকে অনিক ও তার বন্ধুরা অনিক এর বাসার ছাদে আড্ডা দিতো।পুজার কারণে তাদের চার পাঁচ দিন আড্ডা অফ ছিলো। সেদিন সন্ধ্যায় অনিকের ফোনে রিং আসে। আকাশ তাকে বললো ছাদে জল এর বোতল নিয়ে আস্তে তার খুব জল ...

অপরূপা || লেখক : তারেক সাকিব || ঢাকা মেট্রো-চ ||

চোখের কোণায় কালো কাজলে তোমাকে খুব সুন্দর লাগে।-এহহহ! মিথ্যা বলেন কেন?-মিথ্যা না গো, তিনসত্যি।-আচ্ছা দাড়ান…. বেশ কয়েক মিনিট পর কয়েকটা ছবি পাঠালো ইনবক্সে অপরূপা। পুরো চোখের চারপাশ লেপ্টে ফেলেছে কাজল দিয়ে। তবুও খুব মায়াবী লাগছে ওকে। আসলেই কি ও এতো মায়াবী! নাকি আমিই……. -এখন কেমন লাগছে বলুন-ভয়ংকর সুন্দর লাগছে। বেশ কিছুক্ষণ নীরবতা। হয়তো দুইজনই খুঁজে চলছি কথা। শুরুটা করলো অপরূপা’ই। -দাদা!-হুম বলো।-আমার সাথে আপনার কখনো দেখা হয়েছে?-উহু, হয় নাই।-ফোনে কথা হয়েছে?-হ্যা, বেশ কিছুক্ষণ। -কি কথা হয়েছিল?-অনেক জরুরি কিছু না, আবার ফেলে দেওয়ার মতোও না।-আপনি আমাকে কতটা চিনেন?-খুব অল্পই। -তবুও কেন দাদা?-কী কেন??-সত্যিই বুঝতে পারছেন না? ভাগ্য ভালো মেয়েটা সামনে নেই। না হলে লজ্জায় একেবারে মাটিতে মিশে যেতাম। -আকাশে দেখেছো কত্ত বড় একটা চাঁদ উঠেছে?-হুম।-কিন্তু কালো কালো মেঘের আবরণ, অথচ চাঁদে কলংক লাগাতে পারেনি এতোটুকুও।-আপনি খুব সুন্দর কথা ঘুরাতে পারেন দেখছি!-না কথা ঘুরাইনি। তুমি বোকা, তাই বুঝতে পারোনি। আচ্ছা তোমাকে একটা ধাধা ধরি?-হুম বলেন। ‘চাইতে গেলে পাই না, দিতে গেলে লয় না’, বলতো কি হবে?-জানি ...

পূর্নতা || লেখক : তারেক সাকিব || ঢাকা মেট্রো চ ||

=১=গাড়িটা স্টার্ট হতেই নিসা আমার হাত জড়িয়ে ধরলো। স্মিত হেসে ওর গালে হাত বুলালাম -আমার না কেমন জানি লাগছে-ভয় কিসের পাগলী.! -আম্মা যদি আমাকে পছন্দ না করে.?কিছুটা আতংক নিয়ে আমার দিকে তাকালো নিসা। আমার দৃষ্টি তখন কাচঘেরা জানালা পেড়িয়ে দুরদুরান্তে গিয়ে ঠেকেছে। =২= -এতো বড় দামড়া পুলা, অহনো খালি খাই খাই করে। কয়ডা টেহা আনতে পারে না কোনহানতে, সারাদিন শুধু খাই খাই। আমার হইছে যত্ত জ্বালা। বাপটা তো মইরা গিয়া বাইচ্চা গেসে, জ্বালা দিয়ে গেসে আমারে আম্মার কথাগুলো চুপচাপ দাঁড়িয়ে শুনলাম। সেই কাল রাতে অল্পকিছু বাসি ভাত পেঁয়াজ দিয়ে খেয়েছিলাম। সকালে না খেয়ে স্কুলে যাওয়াটা আমার নিত্ত রুটিন। সারাদিন কলের পানি খেয়ে বিকালে বাড়িতে এসে খাবারের খোঁজ করতেই আম্মা কথা শুনিয়ে দিয়ে গেল। প্রতিবছর ধানের সময় মাঠে কাজ করে বেশকিছু টাকা আয় করি। কিন্তু এবার সামনে এসএসসি পরিক্ষা, স্যার বলেছে স্কুল কামাই করা যাবে না। তাই এবছর কাজ করতে যায়নি দেখে আম্মা খুব রেগে আছে আমার উপর। আম্মারই বা কি দোষ! আব্বা সেই ছোট্ট রেখে মারা গেছেন। তারপর থেকে বুড়ো দাদা আর আমার সমস্ত দায়িত্ব এসে পরেছে আম্মার উপর। চেয়ারম্য...

মধ্যবিত্ত || লেখক : কে এম নিহাল || ঢাকা মেট্রো চ

আমার বাবা আমাকে কোন দিন এতো ভোরে ঘুম থেকে উঠা র জন্য ডাকেননি। কিন্তু আজ প্রথম সকাল বেলায় বাবা আমাকে ডেকে বললেন, তোর কাছে কিছু টাকা হবে বাবা? বাবার কথায় আমি যেন পাথর হয়ে গেলাম। যে বাবা আমার পার্সোনাল খরচ দেয় সেই বাবা আবার উল্টো আমার কাছে টাকা চাইলো। কোনো ভাবে নিজেকে সামলে বাবাকে বললাম,বাবা তুমি এখানে বসো আমি পাঁচ মিনিটের মধ্যে আসছি। আসলে দেশ লকডাউন হওয়ার পর থেকে বাবা সংসার সামলাবে কি করে এনিয়ে বেশ চিন্তায় আছেন।পুরো দেশে অফিস আদালত বন্ধ।কোন কোম্পানি বেতন দিয়েছেতো আর কোন কোম্পানি দেয়নি।বাবা চাকরিও করেন একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে। বেতন বিশ -পচিঁশ হাজার টাকা।যা দিয়ে আমাদের বাবা-মা সহ ভাইবোন পাঁচ জনের সংসারটা মোটামোটি মধ্যবিত্ত পরিবারের মতোই চলে। এপ্রিলের ছয় তারিখে বাবার বেতন পাওয়ার কথা ছিলো।তার আগে অফিস বন্ধ হয়ে গেলো।আর কোম্পানিও মাস শেষ হয়নি বলে বেতনটাও দেয়নি।দেশের পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে বলে আতংকিত অবস্থায় বাবা ঘর থেকে যাতে বের হতে না হয় সে জন্য যে অল্প টাকা ঘরে ছিলো তা দিয়ে অল্প চাল এবং ডাল নিয়ে এসেছিলেন। তা সব দশদিনের আগেই শেষ হয়ে গেলো। মা কাল থেকে বারবার বলে আসছিলেন,লজ্জা ফেলে কি হ...

বৃষ্টিবিলাষ || লেখক : তারেক সাকিব || ঢাকা মেট্রো - চ৷ |

-এই যে সাকিব ভাই.! বৃষ্টিতে ভিজে কোথায় যাচ্ছেন.? প্রশ্নটা শুনে পিছে ফিরে তাকালাম। মীম বসে আছে রিক্সাতে। আমার ভার্সিটির জুনিয়র। অতিরিক্ত সুন্দরী যাকে বলে, মীম ঠিক সেটাই। -সায়েন্স ল্যাব যাচ্ছি। -আমিও সেদিকেই যাচ্ছি, চাইলে যেতে পারেন আমার সাথে। কথাগুলো বলে কিছুটা চেপে জায়গা ছেড়ে দিয়ে বসলো ও। আমি একটু ভেবে উঠে পরলাম রিক্সায়। রিক্সা চলতে শুরু করলো।  -আপনার মঙ্গলবার ক্লাস নেই, তবুও প্রতি মঙ্গলবার আপনাকে এখানে দেখা যায়, কেন.! মীমের প্রশ্ন শুনে কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে পরলাম। -না তেমন কিছু না, এমনিতেই আসি। আমতাআমতা করে বললাম কথাটা।  -ইশশশ.. বললেই হলো এমনি.!! আমি বুঝি না মনে করেছেন তাই না.!!!! সত্যি করে বলেন কেন আসেন -তোমাকে দেখতে। -সপ্তাহে দুইদিন দেখেও মন ভরে না বুঝি.! কথাটা বলে কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে গেল মীম। বৃষ্টি বেড়ে চলছে। বৃষ্টির ছাট এসে আমাদের ভিজিয়ে দিচ্ছে। কারো সেদিকে ভ্রুক্ষেপ নেই। আমি মীমের হাতে হাত রাখলাম। ও সরিয়ে দিয়ে আমার বাহু জড়িয়ে ধরলো। আমরা অপলকনেত্রে তাকিয়ে আছি একে অপরের দিকে। রিক্সা সায়েন্স ল্যাব পার হয়ে কাটাবনের দিকে যাচ্ছে। রিক্সাওয়ালাকে কিছু বলতে ইচ্ছা করছে না কেন জানি.! ও আলতো...